নড়াইলে আ.লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০, গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২৫ নড়াইলে আ.লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০, গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি রাশেদ রাসু, নড়াইল থেকে: নড়াইল সদর উপজেলার গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৫ জনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পেছনে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান মোল্লা ও বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ মোল্লার মধ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য ও ব্যক্তিগত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি এ দ্বন্দ্ব আরও তীব্র আকার ধারণ করে। শনিবার সকালে এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, যা পরে রূপ নেয় সংঘর্ষে। দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৫ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংঘর্ষের খবর পেয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পুরো গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক, শান্তি কামনায় দোয়া এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। গ্রামে বর্তমানে জনজীবন প্রায় স্থবির। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং উভয়পক্ষকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য স্থানীয়ভাবে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। SHARES অপরাধ বিষয়: