গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলা: আওয়ামী সমর্থকদের  বর্বর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ক্ষোভ

প্রকাশিত: ৯:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৫

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলা: আওয়ামী সমর্থকদের  বর্বর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক :

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বর্বর তাণ্ডব ও সেনাবাহিনীর ওপর সমন্বিত হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর পেছন থেকে পরিকল্পিতভাবে ইট-পাটকেল ও ককটেল ছুঁড়ে আক্রমণ চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী বারবার মাইকিং করে হামলাকারীদের থামার আহ্বান জানালেও তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে, ফলে সেনা সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হন।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট একই ধরনের বর্বর হামলার ঘটনা ঘটে যেখানে একটি সেনা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া এবং চার সেনা কর্মকর্তাসহ নয়জন সদস্য আহত হন।

আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৬ জুলাইয়ের ঘটনায় কিছু পুলিশ সদস্য, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ আহত হন এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, সেনাবাহিনীকে বারবার টার্গেট করে বাংলাদেশকে অস্থির ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে।

নেটিজেন ইঞ্জিনিয়ার খলিলুর রহমান বলেন, “ভিডিও ফুটেজ দেখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সেনা আইনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকটে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচিত সরকারের অধীনে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে তিনি জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন।

সাধারণ মানুষ মনে করেন, দেশের অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনীকে বারবার টার্গেট করার পেছনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।