সোহাগ হত্যায় ‘মব লিঞ্চিং’ নাটক, তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৫ সোহাগ হত্যায় ‘মব লিঞ্চিং’ নাটক, তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের নিউজ ডেস্ক : পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘটনাটিকে ‘মব লিঞ্চিং’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে খুনিরা। চাঁদা না দেওয়ায় সংঘবদ্ধভাবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মূলহোতা মাহমুদুল হাসান মহিনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তারেক রহমান রবিন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে জানা যায়, গত ৭ জুলাই বিকেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী সোহাগকে রজনী বোস লেনের দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে আনা হয়। সেখানে কনক্রিটের ভারী বস্তু দিয়ে তাকে নির্মমভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহের ওপর লাফিয়ে উল্লাস করে খুনিরা, যাতে ঘটনাটি সাধারণ জনতার ‘মব লিঞ্চিং’ হিসেবে মনে হয়। পুলিশ জানায়, হত্যার আগে মহিন ও তার সঙ্গীরা সোহাগকে চাঁদা দিতে বাধ্য করতে চেয়েছিল। নিয়মিত চাঁদা দেওয়া সত্ত্বেও সোহাগের ‘একরোখা’ আচরণ এবং বড় অঙ্কের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহিন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘সোহাগ বাঁচলে আমরা শেষ’ বলে উপস্থিত লোকজনকে উসকে দেয় সে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম: ১. মাহমুদুল হাসান মহিন (মূল পরিকল্পনাকারী) ২. তারেক রহমান রবিন ৩. মো. টিটন গাজী ৪. আলমগীর ৫. লম্বা মনির ৬. সজিব বেপারি ৭. রাজিব বেপারি গ্রেপ্তার রবিন জানিয়েছে, হত্যার জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করা হয় ছোট মনিরের মাধ্যমে। তবে সেটি ব্যবহার না করে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সোহাগকে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “তদন্তে প্রভাবশালী কোনো মাফিয়া বা রাজনৈতিক সংশ্লেষ পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।” এদিকে আনসার সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর ডিজি জানান, ঘটনাস্থলে আনসারের দায়িত্ব ছিল না; তারা হাসপাতালের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে। ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে সোহাগের দোকান ‘সোহানা মেটাল’। পুরো রজনী বোস লেনজুড়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মহিন গ্রুপের মতো আরও কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এলাকায় সক্রিয় রয়েছে, যা তাদের জন্য বড় হুমকি। পুলিশ ও ডিবির সমন্বয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুতই বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। SHARES অপরাধ বিষয়: