মানবতার অপমৃত্যু: খাবারের অপেক্ষায় শিশুদের শেষ ঠিকানা হাসপাতালের মর্গ

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৫

মানবতার অপমৃত্যু: খাবারের অপেক্ষায় শিশুদের শেষ ঠিকানা হাসপাতালের মর্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরে পুষ্টিকর খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আট শিশু ও দুই নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের সামনে এ হৃদয়বিদারক হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার মুহূর্তে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য। হঠাৎ ড্রোনের শব্দ শুনে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। মুহূর্তেই রক্তাক্ত হয়ে যায় পুরো এলাকা।

সাহায্য সংস্থা প্রজেক্ট হোপ জানিয়েছে, তাদের পরিচালিত ‘আলতায়ারা স্বাস্থ্য ক্লিনিক’-এর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা চালানো হয়। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট রাবিহ তোরবে এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও যাচাই করে বিবিসি জানায়, রাস্তায় শিশুর মরদেহ পড়ে আছে, কয়েকজন নড়ছে না, কেউ কেউ গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

নিহতদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে গর্ভবতী মানাল ও তার কন্যা ফাতিমা, যাদের মৃত্যুর খবর দিয়ে মানালের খালা বলেন, “আমরা তো শুধু শিশুদের খাবারের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। কী অপরাধ ছিল আমাদের?”

ইউনিসেফ প্রধান ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, “জীবন বাঁচাতে সহায়তা নিতে যাওয়া মানুষদের এভাবে হত্যা অযৌক্তিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামাসের নুখবা বাহিনীর একজন সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিল, যার কারণে এই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ প্রাণহানি ঘটে। আইডিএফ এক বিবৃতিতে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বেসামরিক ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।