মনিরামপুরে সাবরেজিস্ট্রার শূন্য, রেজিস্ট্রি কার্যক্রমে স্থবিরতা: ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৫ মনিরামপুরে সাবরেজিস্ট্রার শূন্য, রেজিস্ট্রি কার্যক্রমে স্থবিরতা: ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ রাশেদ রাসু : যশোরের মনিরামপুরে দুই মাস ধরে সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় সম্পূর্ণ রেজিস্ট্রি কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জমি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, দলিল লেখক ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। একইসাথে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, যার পরিমাণ আনুমানিক প্রতি মাসে আট কোটি টাকা। জানা গেছে, গত ৪ মে মনিরামপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেন শাকিলকে ঝিনাইদহে বদলি করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এখানে নতুন কেউ পদায়ন করা হয়নি। অস্থায়ী দায়িত্বে থাকলেও কেউ নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছেন না। ফলে প্রতিদিন জমা হওয়া শত শত দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে না। উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানায়, ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই বৃহৎ উপজেলায় প্রতিমাসে প্রায় ১ থেকে ১.৫ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হতো। এতে সরকার মাসে প্রায় আট কোটি টাকা রাজস্ব পেত। অথচ গত দুই মাসে এই আয় প্রায় পুরোপুরি বন্ধ। ভূমি অফিসেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম জানান, মে মাসে যেখানে ১,৬৮৫টি নামজারি আবেদন হয়েছিল, জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩০৬টি। কারণ, দলিল রেজিস্ট্রি না হলে নামজারির আবেদনও হয় না। সংশ্লিষ্টদের দাবি, মনিরামপুরে অন্তত ১৫৫ জন দলিল লেখক ও সমসংখ্যক সহকারীর কর্মসংস্থান এই রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় তাদের জীবন-জীবিকাও হুমকির মুখে পড়েছে। জমি ক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জমির টাকা পরিশোধ করেছি এক মাস আগে, কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় এখনও দলিল হয়নি।” দলিল লেখক মাহবুবুর রহমান নাজিম জানান, “প্রতিদিন ৮-১০টি দলিল জমা হচ্ছে, কিন্তু রেজিস্ট্রি না হওয়ায় গ্রাহকদের রাগ-ক্ষোভ সামলানোই দায় হয়ে পড়েছে।” জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে চাপে পড়ে গতকাল (বুধবার) অভয়নগর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইকবাল হোসেন মনিরামপুরে এসে কিছু দলিল রেজিস্ট্রি করেন। তবে তিনি সপ্তাহে এক-দুই দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা মনে করেন, সরকারের রাজস্ব এবং মানুষের স্বার্থে অবিলম্বে একজন নিয়মিত সাবরেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। SHARES জাতীয় বিষয়: