রেস্টহাউসে নারীসহ অবস্থান: ওসি প্রত্যাহার, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

নিউজ ডেস্ক :

যশোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রেস্ট হাউসে নারীসহ অবস্থানের ঘটনায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই ঘটনায় রেস্টহাউসে হামলার অভিযোগে যশোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম হাসান সনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক ওসমান গণি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সনির বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর জানান, “দলের যে কেউ অনৈতিক বা শৃঙ্খলা-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়ালে দলে তার স্থান নেই।”

অন্যদিকে, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ গণমাধ্যমকে জানান, “ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ওসি সাইফুল দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কি ঘটেছিল সেদিন?

সিসিটিভি ফুটেজ ও রেস্টহাউস কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে একজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে যশোর পাউবো’র পুরাতন রেস্টহাউসের কপোতাক্ষ কক্ষে ওঠেন ওসি সাইফুল ইসলাম। এরপর রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রদলের নেতা গোলাম হাসান সনি পাঁচ-ছয়জন সহযোগী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন।

প্রথমে রুমের দরজায় ধাক্কা দেন সনি ও তার সহযোগীরা। পরে ওসি সাইফুল ইসলাম বাইরে বের হয়ে এলেও ছাত্রদল নেতারা রুমে প্রবেশের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয় এবং এক পর্যায়ে ওসিকে টেনে রুমে ঢোকানো হয়। এরপর সেখানে মারধর, ভাঙচুর এবং ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে।

ঘটনাস্থলে থাকা আনসার সদস্য ও পাউবো’র এক কর্মচারীও হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছাত্রদল নেতারা ওসি ও ওই নারীকে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দেন।

এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়, যা প্রশাসন এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।