পবিত্র আশুরা আজ: কারবালার বেদনায় নতুন বার্তা বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৫ পবিত্র আশুরা আজ: কারবালার বেদনায় নতুন বার্তা রাশেদ রাসু : আজ, ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। এদিন মুসলিম উম্মার হৃদয়ে গভীর ব্যথা ও শোকের নানাবিধ আবেগ জাগিয়ে তোলে। ইসলামের ঐতিহ্যে এ দিবস বিশেষভাবে স্মরণীয়, কারণ এদিন কারবালার ময়দানে মহানবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র, ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগের বেদনা আজও জীবন্ত। ১২ শতকের ইতিহাসে শুরু হলেও, ৬১ হিজরীর এই দিনটি ইসলামী ইতিহাসে এক অনন্য গুরত্বপূর্ণ মর্মসম্মিলনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ইমাম হোসেন (রা.)-এর নেতৃত্বে তাঁর শহীদ সঙ্গীদের সাথে কারবালায় সংঘটিত বীরত্বপূর্ণ লড়াই, ইসলামের নীতিগত মূল্যবোধে অবিচল প্রতিজ্ঞা ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় এক অনুপ্রেরণা। ইতিহাসের পাতায় যেন আজও সেই দুঃখজনক ঘটনা প্রতিধ্বনিত হয়, যখন ইমাম হোসেন (রা.) তাঁদের আদর্শ ও সত্য বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ত্যাগ করেন। ইতিহাস জানায়, ইমাম হোসেন (রা.)-এর পক্ষ থেকে ইয়াজিদের নবীন ও বাধ্যতামূলক উত্তরাধিকার গ্রহণে অস্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষাপটে, মদিনা ছেড়ে কুফায় যাত্রা করে তারা কারবালার তটে আত্মসমর্পণের আমন্ত্রণে অগ্রসর হয়। তবে, কুফার পরিবেশনায়, উমর ইবনে সাদ এবং বিন আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্যের সহায়তায় কারবালায় প্রবেশ করা হয়। সেখানে পানির সরবরাহ বন্ধ করে, নারী-শিশুরা তৃষ্ণায় কষ্টে কুয়াশা মুড়ায় – এই ঘটনার মধ্যে লুকিয়ে থাকে ইমাম হোসেন (রা.)-এর অবিচল সাহস ও আদর্শবোধ। তাঁর এই আত্মত্যাগ, ইতিহাসের পাতায় চিরকাল অম্লান থাকবে। ইসলামী আধ্যাত্মিকতায়, আশুরার দিনেই কেয়ামতের ঘোষণা ও অবসান ঘটবে বলে ধারণা প্রচলিত। আবু হুরায়রা (রা.)-এর বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী, মহানবী (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন। এদিকে, বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায় – বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায় – ইমাম হোসেনের শোকে মাতম ও তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করেন। দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় তাজিয়ার procession, যেখানে সমগ্র সমাজে ন্যায়, সাম্য ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আশুরা উপলক্ষে বক্তব্য প্রদান করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, > “পবিত্র আশুরা আমাদেরকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রেরণা জোগায়।” তিনি আরও বলেন, এই দিনটি শুধু ইসলামী ইতিহাসের একটি পাতায় সীমাবদ্ধ না, বরং আধুনিক সমাজে সাম্য, ন্যায় এবং শান্তির প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিশা দেখানোর প্রেরণার উৎস। আজকের আশুরা শুধুই শোক ও ত্রাসের দিন নয়; বরং মানবতার জন্য ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে এক অবিচল রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত। এই উৎসবের মাধ্যমে, মুসলিম উম্মা তাদের ঐক্য, সংহতি ও অটল অগ্রগতি কামনা করে, ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন দিনের আশ্বাস প্রদান করে। SHARES ধর্ম ও জীবন বিষয়: