মা-ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা: জানাজায় ছিল না স্বজন, গ্রেফতার ২ বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৫ মা-ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা: জানাজায় ছিল না স্বজন, গ্রেফতার ২ স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনার পরিণতিতে একই পরিবারের তিনজন—মা, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর শুক্রবার রাতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, তাদের জানাজায় এলাকাবাসী বা কোনো আত্মীয়-স্বজনকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া জানাজায় অংশগ্রহণ ছিল একেবারেই নগণ্য। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল পাঁচটার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের কঠোর পাহারায় কড়ইবাড়ি কবরস্থানে তিনটি মরদেহ দাফন করা হয়। মামলা ও গ্রেফতার মরদেহ দাফনের কিছু সময় পর, নিহত রোকসানা আক্তার রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৬৩ জনকে আসামি করা হয়—এরমধ্যে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, মামলার পরপরই রাতেই যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন—কড়ইবাড়ি গ্রামের মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিম উদ্দিন বাবুল (৫৬)। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কী ঘটেছিল সেইদিন? গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে ভয়াবহ এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ করা হয়, রোকসানা আক্তার রুবি ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরি এবং মাদক ব্যবসার সন্দেহে স্থানীয় একদল লোক প্রকাশ্যে তাদের পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। একই ঘটনায় আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫), যিনি বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকাবাসীর নীরবতা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর জানাজা ও দাফনে এলাকাবাসীর অনুপস্থিতি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় এখনও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কের কারণেই হয়তো স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানাজায় অংশ নেননি। SHARES অপরাধ বিষয়: