সড়কে কাজ রেখে পালালেন ঠিকাদার ভোগান্তিতে লাখো মানুষ বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৫ সড়কে কাজ রেখে পালালেন ঠিকাদার ভোগান্তিতে লাখো মানুষ বিডি সময় ডেস্ক রিপোর্ট: পাবনার ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার অংশের সংস্কারকাজ ফেলে ঠিকাদারের ‘পালিয়ে যাওয়ার’ ঘটনায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চলনবিলাঞ্চলের হাজারো মানুষ। দীর্ঘ চার মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে—যেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ঘটেছে প্রাণহানিও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নওগাঁর নৌবাড়িয়া চৌরাস্তা থেকে ভাঙ্গুড়ার ময়দানদিঘী বাজার পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। বরেন্দ্র লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন ঠিকাদার রিজন আহমেদ। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়সীমা—৩০ সেপ্টেম্বর—শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ করে নির্মাণ ফেলে চলে যান তিনি। ফলে পুরো রাস্তাজুড়ে পড়ে আছে ইট, খোয়া ও ধুলোর স্তূপ। কোথাও কোথাও খোঁড়াখুঁড়ির ফলে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত, যা যান চলাচলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই রাস্তায় চলাচল এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথ পাড়ি দেওয়ার সমান। গত ১৫ মার্চ এই সড়কে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় খোয়ার ওপর মোটরসাইকেল পিছলে পড়লে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান এক বাবা ও তার শিশু সন্তান। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক ও কবি নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, “এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। অথচ চার মাস ধরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ। এটি যেন জনভোগান্তির স্থায়ী প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।” একই অভিযোগ তুলেছেন খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান। তিনি জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিকবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার রিজন আহমেদ বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত কেবল ২৫ শতাংশ বিল পেয়েছি। বাকি অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারছি না।” এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, “ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। তিনি কাজ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, যখন এই সড়কে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে, তখনও কেন কাজ বন্ধ রয়েছে? বরাদ্দ থাকার পরও কেন বিল আটকে আছে? এসব প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ায় ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। চলনবিলবাসী এখন তাকিয়ে আছে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ ও দ্রুত সমাধানের দিকে। SHARES অপরাধ বিষয়: