পটুয়াখালীতে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৫ পটুয়াখালীতে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা বিডি সময় ডেস্ক রিপোর্ট: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) গভীর রাতে উপজেলার ২ নম্বর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড—তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে নিহতের পরিবার দাবি করছে, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাসায় একা থাকার সুযোগেই ঘটে ঘটনা পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর ধরে ওই শিক্ষার্থী দাদি রোকেয়া বেগমের সঙ্গে বসবাস করছিল। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। শুক্রবার সন্ধ্যায় দাদি তাকে বাসায় একা রেখে পাশের বাড়িতে পান খেতে যান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফিরে এসে দেখেন, নাতনি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিলে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ: পূর্ব থেকেই যৌন হয়রানির শিকার নিহত ছাত্রীর খালা উপমা পারভিন খাদিজা অভিযোগ করে বলেন, “আমার বোনের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তার ফুফাতো ভাই সাকিল ও সাজিত তাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এমনকি একবার গোসল করার সময় ভিডিও করে সেই ফুটেজ দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করত।” তিনি আরও জানান, “ঘরের সামনে থাকা শামীম নামের এক ব্যক্তি, যাকে দাদি পড়ালেখার ব্যাপারে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই সুযোগে সেও ওই মেয়েকে উত্যক্ত করত।” দাদির আচরণ ঘিরেও প্রশ্ন মামাতো ভাই আশিকুল ইসলাম সিয়াম বলেন, “ঘটনাটি রাত ১০টার দিকে ঘটলেও আমাদের জানানো হয় রাত ২টার সময়। এটি আত্মহত্যা হতে পারে না। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।” নিহতের দাদি রোকেয়া বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা—তা স্পষ্ট হবে। আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।” সামাজিক প্রতিক্রিয়া এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, “একজন কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে যদি ধর্ষণ ও হয়রানির অভিযোগ ওঠে, তাহলে তা যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা জরুরি। অন্যথায় এই ধরণের অপরাধ উৎসাহিত হবে।” SHARES অপরাধ বিষয়: