এবার বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৫

এবার বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

সমুদ্রপথে সীমিত অনুমোদন, তিন মাসে তৃতীয় দফা বিধিনিষেধ

বিশেষ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর ব্যবহার করে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে—

কাঁচা পাট

পাটের রোল

পাটের সুতা

বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড়
(অন্যান্য পণ্যের বিস্তারিত তালিকা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি)

তবে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে, সমুদ্রপথে সীমিত আমদানির সুযোগ রেখেছে ভারত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে বাংলাদেশের এসব পণ্য শুধুমাত্র মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দরের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই ৯ ধরনের পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার, যার প্রায় ৯৯ শতাংশ—১৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের পণ্য—রপ্তানি হয়েছে স্থলবন্দর ব্যবহার করে। অর্থাৎ নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তিন মাসে তিন দফা নিষেধাজ্ঞা

নতুন এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চলতি বছরের শেষ তিন মাসে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এটি ভারতের তৃতীয় দফা বিধিনিষেধ।

গত ৯ এপ্রিল: বাংলাদেশের পণ্য কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে ভারত।

১৭ মে: তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, আসবাব, সুতা ও ফলভিত্তিক কোমল পানীয়সহ একাধিক পণ্য স্থলপথে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

২৭ জুন: এবার পাট ও পাটজাত ৯টি পণ্যের স্থলপথে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দেশটি।

ব্যতিক্রম: নেপাল ও ভুটান রপ্তানিতে অনুমোদন

তবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল ভারতের নিজস্ব আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভেতর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আগের মতোই অব্যাহত থাকবে।

বিশ্লেষণ

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এসব একতরফা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে পাট খাতের ওপর নতুন করে চাপ তৈরি হলো, যা আগে থেকেই মূল্যহ্রাস ও প্রতিযোগিতায় বিপর্যস্ত।

সুত্র: ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, এবং চ্যানেল ২৪