২ লাখ টাকার চুক্তিতে খুন প্রবাসীর স্ত্রী, সেপটিক ট্যাংকে মিলল মরদেহ

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৫

২ লাখ টাকার চুক্তিতে খুন প্রবাসীর স্ত্রী, সেপটিক ট্যাংকে মিলল মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক | 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে ২ লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে ফেলে রাখা হয় একটি সেপটিক ট্যাংকে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা বুড়িচং থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে। পুলিশ জানায়, নিহত ফেরদৌসী বেগম সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী এবং রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের বাসিন্দা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহতের ভাশুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে নুরজাহান বেগম পরিকল্পিতভাবে ফেরদৌসীকে হত্যার জন্য আনোয়ার হোসেন নামে এক ভাড়াটে খুনির সঙ্গে ২ লাখ টাকার চুক্তি করেন। পরবর্তীতে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু নামে আরও দুই ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হন।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন সকালে ফেরদৌসী বেগমকে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করার পর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। অবশেষে ১ জুলাই সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত ফেরদৌসীর ছেলে ইকরামুল হাসান বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে প্রথমে নুরজাহানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় অপর তিন আসামিকে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, “গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতের গলার চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।”

আদালতের নির্দেশে তিন ভাড়াটে খুনিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।