২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ভাগনের বাড়িতে আগুন, অভিযুক্ত মামা

প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৫

২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ভাগনের বাড়িতে আগুন, অভিযুক্ত মামা

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা

পাবনার সুজানগর উপজেলায় ভাগনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে আপন মামার বিরুদ্ধে। এতে আনুমানিক ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগীর নাম ইমন মাহমুদ। তিনি উপজেলার তাঁতিবন্ধ ইউনিয়নের হুদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার। অভিযুক্ত মামা টুটুল মোল্লা একই গ্রামের আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইমনের নির্মাণাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে তিনি সুজানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ইমন মাহমুদ অভিযোগে জানান, “আমার আপন মামা টুটুল মোল্লা চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি নানা হুমকি ও হয়রানি শুরু করেন। একপর্যায়ে নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি এলাকায় সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা হলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি তার ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।”

ইমন আরও বলেন, “আগুনে আমার ঘরের আসবাবপত্র, মূল্যবান কাগজপত্র, স্যানিটারি সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ, পানি তোলার মটরসহ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে অকথ্য গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।”

এ ঘটনায় অভিযুক্ত টুটুল মোল্লার মন্তব্য জানতে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত মামলা নথিভুক্ত করা হবে।”

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, টুটুল মোল্লা এলাকায় একাধিক মাদক মামলার আসামি এবং আগে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিলেও বর্তমানে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।