২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনের হোতা নূরুল হুদা: রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, ৪ দিনের রিমান্ডে প্রাক্তন সিইসি বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৫ ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনের হোতা নূরুল হুদা: রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, ৪ দিনের রিমান্ডে প্রাক্তন সিইসি বিডি সময় ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা—এমন অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনাইদের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজিব রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন, তবে শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আদালতে তোলা হয় নূরুল হুদাকে। তার পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট। এজলাসে ওঠানোর পর হ্যান্ডকাফ ও হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। শুনানি শুরু হয় ৩টা ৪৪ মিনিটে। পুরো শুনানি চলাকালীন মাথা নিচু করে ছিলেন তিনি এবং কোনো বক্তব্য দেননি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, > “২০১৮ সালের নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও ভীতিকর পরিবেশের কোনো প্রতিরোধ করেননি নূরুল হুদা। বরং রাত ৩টার মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। রাতে প্রিসাইডিং অফিসারদের দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন তিনি। এর মাধ্যমে একটি প্রহসনের নির্বাচন সম্পন্ন করেন। তিনি আরও বলেন, > “এই পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। নূরুল হুদা ও তার প্রশাসন তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার ও ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’র নির্দেশেই এসব করেছেন।” অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, > “রিমান্ড আবেদন একই ধারায় বারবার আসছে। আগের রিমান্ডে কী তথ্য পাওয়া গেছে তা জানানো হয়নি। তদন্তে যেসব তথ্য থাকার কথা, সেগুলোর কোনো নির্ভরযোগ্য উপাত্ত নেই। একজন এসআই নির্বাচন কমিশনের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম কীভাবে তদন্ত করবেন—এটাই প্রশ্ন।” এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, > “এখন আদালতে কথা বলাও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। কথা বললেই নতুন মামলা হয়।” জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, > “তদন্ত কর্মকর্তা তার কাজ করছেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবেন।” শুনানি শেষে বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এজলাস ত্যাগ করেন। এর আগে, ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাসায় ‘স্থানীয় জনতা’ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন তার চার দিনের প্রথম রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। প্রসঙ্গত, সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের দ্বাদশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নেন। তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচনের একটি হিসেবে পরিগণিত। SHARES জাতীয় বিষয়: