১৪ বছরেও উদঘাটন হয়নি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য 

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৫

১৪ বছরেও উদঘাটন হয়নি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য 

আবারও পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ, মোট পেছালো ১১৯ বার

রাশেদ রাসুর প্রতিবেদন :

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পেছাল। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ১১ আগস্ট।

এ নিয়ে টানা ১৪ বছরে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে মোট ১১৯ বার। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এ নতুন দিন ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয় নিজ বাসা থেকে।

ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করে থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই), পরে তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। একপর্যায়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।

মামলার আটজন আসামির মধ্যে রয়েছেন রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাসার নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল এবং আবু সাঈদ।
তাদের একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কেউই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

প্রায় দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও দেশে বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য এখনও অজানা, যা দেশের বিচারব্যবস্থা ও তদন্ত সংস্থাগুলোর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।