স্ত্রীর কিডনিতে প্রাণে বাঁচলেও ‘পরকীয়ায় জড়ালেন’ অকৃতজ্ঞ স্বামী!

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৫

স্ত্রীর কিডনিতে প্রাণে বাঁচলেও ‘পরকীয়ায় জড়ালেন’ অকৃতজ্ঞ স্বামী!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভালোবাসার প্রমাণ দিতে নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীকে বাঁচিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্বামী সুস্থ হয়েই জড়ালেন পরকীয়ায়— এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে সাভারের কলমা এলাকায়।

৩৫ বছর বয়সী উম্মে সাহেদীনা টুনি হয়তো ভাবতেও পারেননি, ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের মূল্য এমন নির্মমভাবে দিতে হবে তাকে। বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় জানতে পারেন— তার স্বামী মোহাম্মদ তারেকের দুটি কিডনিই প্রায় অচল। তখন সদ্য সন্তানসম্ভবা টুনি নিজের সব কষ্ট ভুলে স্বামীর পাশে দাঁড়ান।

পরিবার ও সন্তানের মুখ চেয়ে নিজের কিডনি দান করেন স্বামীর প্রাণ রক্ষায়। ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পান তারেক।

কিন্তু সুস্থ হতেই তারেক পাল্টে যান। স্ত্রী টুনির কষ্ট, ত্যাগ, ভালোবাসা ভুলে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়া সম্পর্কে। এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর প্রেমে আসক্ত হয়ে যান তিনি। শুধু তাই নয়, নেশায় জড়ান অনলাইন জুয়ার।

ধীরে ধীরে শুরু হয় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে টুনিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং প্রেমিকার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন অকৃতজ্ঞ তারেক।

এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন টুনি। পুলিশ তারেককে গ্রেফতার করলেও বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

টুনির প্রশ্ন:
“আমি যদি তখন কিডনি না দিতাম, তবে সে আজ বেঁচে থাকত না। যে জীবন আমি ফিরিয়ে দিলাম, সেই জীবনই আমার সর্বনাশ করল।”

এমন নির্মমতা আর বিশ্বাসঘাতকতা সামাজিকভাবে প্রশ্ন তোলে— ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের দাম কি শুধুই প্রতারণা?