স্ত্রীকে ১১ টুকরা করে মেঝেতে ফেলে পালালেন স্বামী

প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৫

স্ত্রীকে ১১ টুকরা করে মেঝেতে ফেলে পালালেন স্বামী

নিউজ ডেস্ক :

চট্টগ্রাম নগরীতে সংঘটিত হলো এক নৃশংস ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১১ টুকরা করে মেঝেতে ফেলে রেখে জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে গেছেন স্বামী। এই ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির আর.কে টাওয়ারের নবম তলায়

‍♀️ নিহত ও অভিযুক্ত

নিহত গৃহবধূর নাম ফাতেমা বেগম (৩২)। তার স্বামীর নাম মো. সুমন, যিনি পেশায় একজন পিকআপচালক। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন। তাদের ৮ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে, যিনি ঘটনার সময় আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন।

হত্যার বিবরণ

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। ফাতেমার শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে মোট ১১টি টুকরা করা হয়েছে। এমনকি হাড় থেকে মাংসও বিচ্ছিন্ন করা হয়। শরীর থেকে মাথা আলাদা করে রেখে যাওয়া হয় ঘরের মেঝেতে।

ঘটনার পর ঘাতক সুমন ভবনের জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে যান। যদিও বাসিন্দারা তাকে এক পর্যায়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে, তবে পুলিশ আসার আগেই সে পালিয়ে যায়।

️ পুলিশের বক্তব্য

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন:

> “রাত আনুমানিক ১২টার পর এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এমনভাবে কুপিয়েছে যে, শরীর থেকে মাথা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি পরিকল্পিত ও ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড।”

তিনি আরও জানান, নিহতের শরীরে পূর্বে নির্যাতনের চিহ্নও ছিল। পারিবারিক কলহ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।

⚖️ পরবর্তী ব্যবস্থা

ফাতেমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি, তবে অভিযুক্তকে ধরতে চলছে পুলিশি অভিযান।