সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নান্নু নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৫

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নান্নু নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক :

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় নির্মমভাবে খুন হওয়া ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত অন্যতম অভিযুক্ত নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে র‍্যাব সূত্র।

র‍্যাব জানায়, সোহাগ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া একাধিক আসামির মধ্যে নান্নু অন্যতম। তার বিরুদ্ধেই রয়েছে হামলা, মারধর এবং হত্যার পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হবে।

কী ঘটেছিল?

গত বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে পুরান ঢাকার ব্যস্ততম মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে বর্বরোচিতভাবে খুন হন সোহাগ (৩৯)। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে কিছু যুবক তাকে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সবার সামনে নির্মমভাবে পিটিয়ে, ইট ও পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে মৃতদেহের ওপর লাফিয়ে নাচানাচিও করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নিহত সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকায় ভাঙারি মালামালের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। দুই সন্তানের জনক সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

মামলা ও তদন্ত

ঘটনার পরদিন, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ও র‍্যাব যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।

জনমনে উদ্বেগ

এ হত্যাকাণ্ড শুধু বর্বরতার নতুন দৃষ্টান্তই নয়, বরং জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। এমন ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এমন একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় জনমনে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

র‍্যাব ও পুলিশের একাধিক দল এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোহাগ হত্যায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না।