সাবেক বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে মারধর ও বিবস্ত্র করে হেনস্তা

বিডি সময় ডেস্ক রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে মারধর ও বিবস্ত্র করে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল।

রবিবার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, একদল ব্যক্তি মুকুলকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তাকে মারধর করে এবং পরনের পাঞ্জাবি-প্যান্ট ছিঁড়ে ফেলে বিবস্ত্র করে দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে একটি অটোরিকশায় করে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভিডিও ভাইরাল

ঘটনার পর একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি আতাউর রহমান মুকুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন এবং টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার পোশাক ছিঁড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তিনি অসহায়ভাবে রাস্তায় পড়ে আছেন। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাকে উদ্ধার করে।

মুকুলের অভিযোগ

আতাউর রহমান মুকুল অভিযোগ করেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ‘ডন বজলু’র নেতৃত্বে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক নিয়োগের দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে ডন বজলুর নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে আমাকে মারধর ও হেনস্তা করা হয়।”

তিনি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশের বক্তব্য

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী সাংবাদিকদের জানান, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে, তার নামে কোনো মামলা আছে কিনা তাও যাচাই করা হচ্ছে।”

বিএনপি থেকে বহিষ্কারের প্রেক্ষাপট

আতাউর রহমান মুকুল একসময় বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের রাজনৈতিক সভায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।