শাহীন চাকলাদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগে মামলা
নিউজ ডেস্ক :
যশোরের কেশবপুরের একটি কলেজ ও একটি স্কুলে নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগমের আদালতে এই মামলা করেন শহীদ লে. মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান।
অভিযুক্তদের নাম
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন:
শাহীন চাকলাদারের পিএস আলমগীর সিদ্দিকি টিটো,
টিটোর স্ত্রী শামীমা পারভিন রুমা,
এবং মাগুরখালী গ্রামের মৃত সোবহান গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম।
কীভাবে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা একত্রিত হয়ে এমপিওভুক্তকরণ, নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মশিয়ার রহমানের কাছ থেকে দফায় দফায় মোট ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নেন। টাকা গ্রহণের সময় আসামিরা মেশিনে গুনে নেন এবং ব্যক্তিগতভাবে শাহীন চাকলাদার তা গ্রহণ করেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বাদী জানান, এই অর্থ গ্রহণ করা হয় ২০২০ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৩০ আগস্টের মধ্যে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১-২২ সালের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কিছুই হয়নি। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে আসামিরা জানিয়ে দেন, ‘এগুলো আর হবে না।’
ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক হুমকি
২০২৫ সালের ২০ জুন বাদী আলমগীর সিদ্দিকি টিটো ও তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা ফেরতের অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, "আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসছে, কিছু করতে পারবে না"—এমন ভয়ভীতি দেখানো হয়।
বাদীর আইনজীবী তাহমিদ আকাশ জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেক্ষাপট
শাহীন চাকলাদার যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এই মামলাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ও স্থানীয় সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।