শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর

প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৫

শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর

নিউজ ডেস্ক :

বান্দরবানে গভীর রাতে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে জেলা সদরের পৌর এলাকার আর্মি পাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের আঁধারে দুটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন মুখোশধারী যুবক হঠাৎ অফিসের সামনে এসে ইট দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ভাঙচুরের শব্দে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।

স্থানীয় দোকানি মো. রিয়াদ জানান, “রাত তিনটার দিকে বাইরে থেকে আমার দোকানে তালা দিয়ে দেয়া হয়। ঘুম ভেঙে ভাঙচুরের শব্দ শুনি। কিন্তু কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা দেখতে পারিনি।”

দুর্বৃত্তরা অফিসের ভেতরে থাকা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভেঙে ফেলে। এছাড়া টেলিভিশন, টেবিল, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে তারা পালিয়ে যায়।

সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন তুষার, মুজিবর রশীদ, চনু মংসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এ সময় তুষার বলেন, “এর আগেও বালাঘাটা এলাকায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজকের ঘটনায়ও আমরা আতঙ্কিত। বারবার অভিযোগ করার পরও পুলিশ আজ পর্যন্ত দোষীদের শনাক্ত করতে পারেনি।”

ঘটনার বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) মো. ফরহাদ সরদার বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বান্দরবান সম্প্রীতির জেলা, এখানে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে ছাড় দেওয়া হবে না।”

প্রসঙ্গত, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কার্যালয়টি আগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিএনপির দাবি, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তাদের নেতাকর্মীরা এটি পুনর্দখল করে নেয়।

স্থানীয়দের অনেকে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মনে করছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের কিছু দুর্বৃত্ত এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তবে এখনো কেউ এই ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি।