লোহাগাড়ায় পুলিশের আচরণ ‘আত্মঘাতী’, তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনের সময় সহকর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় পেশাদারিত্বের ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান দৈনিক কালবেলাকে বলেন, “পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানোর একটা নির্ধারিত নিয়ম আছে। তল্লাশিচৌকিতে পর্যাপ্ত ফোর্স থাকবে, 'চেকপোস্ট' লেখা থাকবে এবং আগে থেকে সংকেত দিতে হবে। কেউ যদি সেই সংকেত অমান্য করে চলে যায়, তাকে পাকড়াও করার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু লোহাগাড়ায় পুলিশ যেটা করল, সেটা তো আত্মঘাতী। গাড়ির নিচে পড়ে পুলিশ সদস্য নিহতও হতে পারতেন। এখানে পুলিশের পেশাদারিত্বের যথেষ্ট ঘাটতি দেখা গেছে।”
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, “পুলিশের প্রধান দায়িত্ব মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা। সন্দেহভাজনকে ধরতে গিয়ে যদি নিজেই পঙ্গু হয়ে যান, তাহলে সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকাশিত ভিডিওতে পুলিশের আচরণে পেশাদারিত্বের অভাব স্পষ্ট।”
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল আহমেদ বলেন, “ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত মন্তব্য করা যাচ্ছে না।”
এদিকে, পুলিশ সদস্যের এমন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ ও কর্তব্য পালনের কৌশল নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, সন্দেহভাজন গাড়ি থামাতে গিয়ে জীবন ঝুঁকিতে ফেলা কোনোভাবেই সঠিক নয়।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।