লোহাগড়ায় ৪০ হাজার টাকায় আসামি মুক্ত: পুলিশের বিরুদ্ধে ‘লেনদেনের’ অভিযোগে তোলপাড় বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৫ লোহাগড়ায় ৪০ হাজার টাকায় আসামি মুক্ত: পুলিশের বিরুদ্ধে ‘লেনদেনের’ অভিযোগে তোলপাড় বিডি সময় ডেস্ক রিপোর্ট | নড়াইলের লোহাগড়ায় এক আলোচিত ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামিকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায়, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর একটি মামলায় অভিযুক্ত এড়েন্দা গ্রামের মো. জিল্লুর রহমানকে ৫ জুলাই রাতে লোহাগড়া থানার এসআই তারেক রহমান ও এএসআই ইলিয়াস এড়েন্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করেন। কিন্তু থানায় না এনে, নগদ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং আরও ১০ হাজার টাকা বকেয়া রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর। স্টাসে লিখেন— >আসামি মো: জিল্লুর রহমান পিতা: অজ্ঞাত, গ্রাম: এড়েন্দা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার মূখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর দায়েরকৃত মামলার আসামি। তাকে লোহাগড়া থানার এস আই ইলিয়াস এবং এএসআই তারেক ০৫ জুলাই রাতে এড়েন্দা থেকে আটক করে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। ৩০০০০ টাকা পরিশোধ করে বাকি ১০ হাজার টাকা রয়েছে। লোহাগড়া থানার ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাকি ১০ হাজার টাকা আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে রেখে গেছে আসামি, টাকাটা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ তিনি আরও জানান, এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবেন এবং বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলে জানাবেন। পুলিশের নীরবতা ও এলাকাবাসীর উদ্বেগ এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আমি তদন্ত করে দেখছি।” তাছাড়া গত দুইদিন আমি একটি ডাকাতি মামলার আসামি তুষারকে ধরার জন্য ঢাকা এবং লোহাগড়াতে ব্যস্ত ছিলাম। তবে অভিযুক্ত এসআই ও এএসআই-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কেউ ফোন ধরেননি। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে এই ‘লেনদেনের’ খবর ফাঁস হওয়ায় তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন—এ ধরনের ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির দাবি স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক সচেতন মহল বলছেন— > “আইনরক্ষকরা যদি ঘুষের বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেন, তাহলে দেশে আইনের শাসনের বদলে টাকার শাসন কায়েম হবে।” তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। SHARES অপরাধ বিষয়: