লোহাগড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন গুরুতর আহত, মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৫

লোহাগড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন গুরুতর আহত, মামলা দায়ের

রাশেদ রাসু, লোহাগড়া থেকে :

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। লক্ষীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পারভেজ কাজী ও উলা গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তবিরন মোল্লা সমর্থিত গ্রুপের চারজন কর্মী একই গ্রামের প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই রাতে লক্ষীপাশা ইউনিয়নের উলা গ্রামে ১০টার দিকে তবিরন মোল্লার অনুসারী জুয়েল মোল্লা (৩৫), শরিফুল (৩৮), জাকির (৪০) ও সিনবাদ (৩২) বাবু (৩৫) বউবাজার থেকে উলা গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় আলমগীর হোসেনের বাড়ির কাছে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের এনায়েত লস্কার, মেম্বার অহেদ শেখ, মশিয়ার শেখ ও ওমর মোল্লার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায়।

এসময় চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে আহতদের মধ্যে ভ্যানচালক বাবু কাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতদের পরিবারের লোকজনের দাবি, প্রতিপক্ষের এনায়েত লস্কার ও মেম্বার অহেদ শেখ সমর্থিত লোকজনদের সাথে বেশ কিছু আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজন রয়েছে।

ঘটনার তিন দিন পর, ১৪ জুলাই আহত জুয়েল মোল্লার স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার বনানী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর: ৬।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার প্রধান আসামি এনায়েত লস্কারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “১৩ জুলাই দিবাগত রাত ১২টার পর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছিল। সংঘর্ষের এই ঘটনা সেই দ্বন্দ্বেরই পরিণতি।