রোগীর ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম লিখলে বাড়বে বিপদ, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২৫

রোগীর ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম লিখলে বাড়বে বিপদ, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা

স্টাফ রিপোর্টার:

৫ মে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের এক প্রস্তাবে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের ওষুধ বাজারে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ প্রসঙ্গে ওষুধ প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মুনির উদ্দিন আহমেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেন, “জেনেরিক নাম লিখলে দোকানদারদের হাতে সোনার হরিণ তুলে দেওয়ার মতো অবস্থা হবে। তখন নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির মাধ্যমে তারা বিপুল মুনাফা অর্জন করবে।” তিনি আরও বলেন, “ডাক্তার একটি ওষুধ লিখলেন, কিন্তু রোগী পেল ভিন্ন মানের ওষুধ। ফলে চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।”

স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্যবিদ বজলুর রহমান বলেন, “সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার ওষুধের দোকান রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগে কোনো নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট নেই। অনেক ক্ষেত্রে দোকান চালাচ্ছেন উচ্চমাধ্যমিক পাস না করা ব্যক্তিরা। তাদের পক্ষে জেনেরিক নাম বুঝে সঠিক ওষুধ সরবরাহ করা অসম্ভব।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিটি ফার্মেসিতে ফার্ম-ডি ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক না করা এবং সব ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত না করে জেনেরিক নাম বাধ্যতামূলক করা হলে, তা চিকিৎসা খাতের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।

তাদের মতে, স্বাস্থ্য খাতের জটিলতা দূর করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ, নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট নিয়োগ ও ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা। না হলে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে।