মাহবুব হত্যাকাণ্ড: চরমপন্থি দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেপথ্যে? বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৫ মাহবুব হত্যাকাণ্ড: চরমপন্থি দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেপথ্যে? নিউজ ডেস্ক : দৌলতপুরের যুবদল নেতা মাহবুব হত্যা মামলায় রাজনৈতিক বিরোধ ও চরমপন্থি দ্বন্দ্বের জটিল চিত্র উঠে আসছে। মাহবুবের পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির মাটিতে সক্রিয় থাকায় এবং একাধিক আলোচিত মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তার ওপর চরমপন্থি একটি গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। মাহবুবের শ্বশুর ও মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক প্রচার সম্পাদক আজাদ বেগ বাবু বলেন, “কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের সংঘাতে যুবদল নেতা হিসেবে মাহবুব অংশ নিয়েছিল। এছাড়া, ৫ আগস্ট দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তার প্রতি শত্রুতা তৈরি হয়।” তিনি আরও বলেন, “কুয়েট এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং দিলীপ মাস্টারকে গুলির ঘটনার সঙ্গেও মাহবুবের নাম জড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। খানাবাড়ি এলাকায় জমির বিরোধের জেরে মাহবুবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে।” তদন্তে উঠে এসেছে, খুলনার মহেশ্বরপাশা, দেয়ানা ও তেলিগাতি এলাকায় আত্মগোপনে থাকা চরমপন্থিরা সম্প্রতি পুনরায় সক্রিয় হয়েছে। গত ১৫ মার্চ বড় চরমপন্থি নেতা শেখ শাহীনুল হক (বড় শাহীন) হত্যাকাণ্ডের পর এই চক্র বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন হুমায়ুন কবীর (হুমা), রায়হান, আসিফ মোল্লা ও ইমন হাওলাদার। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন হোসেন ঢালী ও মাহবুবের আত্মীয় আরমান। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বাগেরহাটে একটি কিলিং মিশনে অংশ নিতে গিয়ে হুমা গ্রুপের সদস্যরা গ্রেপ্তার হলে মাহবুবকে ‘ধরিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগ আনে তারা। যদিও মাহবুব ও তার পরিবার সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। মাহবুবের স্ত্রী এরিনা সুলতানা বলেন, “আমার স্বামী কিছুই জানত না, সে নিজেই আমাকে বলেছে ওদের গ্রেপ্তারের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও ওরা ক্ষান্ত হয়নি।” তাঁতী দলের স্থানীয় এক নেতা বলেন, “আমি যেহেতু মামলার বাদী ছিলাম, আমাকেই প্রথমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর টার্গেট করা হয় মাহবুবকে। সে বারবার বলেছে সে নির্দোষ, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।” দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানান, “হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা গ্রুপ শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সজল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি মাহবুবের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলেন। শিগগিরই হত্যাকারীদের ধরতে সক্ষম হবো।” স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দলীয় বিভাজন এবং চরমপন্থি দ্বন্দ্বের ফলে মাহবুবের মতো একনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মীর নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু তার পরিবারকেই নয়, পুরো এলাকাকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। SHARES অপরাধ বিষয়: