মধুমতির করাল গ্রাসে পাংখারচর-চরসুচাইল : বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি, হুমকিতে শতাধিক পরিবার বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২৫ মধুমতির করাল গ্রাসে পাংখারচর-চরসুচাইল : বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি, হুমকিতে শতাধিক পরিবার রাশেদ রাসু, লোহাগড়া (নড়াইল) থেকে : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর ও চরসুচাইল এলাকায় মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত এবং নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে একের পর এক ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে শতাধিক বসতবাড়ি। স্থানীয়রা জানান, ২০২৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে বালির বস্তা ফেলেছিল। তবে সেই উদ্যোগ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আবারও ভয়াবহভাবে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীতীরবর্তী এলাকাবাসী। ভাঙনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দা কামাল ফকির বলেন, ‘‘বৃষ্টি ও পানির তোড়ে প্রতিদিন একটু একটু করে নদী ভাঙছে। মনে হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই আমার ঘরটা নদীতে চলে যাবে।’’ আরেক বাসিন্দা আজিজুর ফকির বলেন, ‘‘আগের মতো এবারও দ্রুত বালির বস্তা না ফেললে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যেতে পারে।’’ চরসুচাইল গ্রামের ইয়াসিন শেখ জানান, ‘‘আমার চাষের জমি ভেঙে গেছে। এখন বাড়িঘরও হুমকির মুখে। চোখের সামনে সবকিছু হারানোর শঙ্কায় আছি।’’ মিলন ফকির বলেন, ‘‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। তারা এলাকা ঘুরেও গেছে। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।’’ জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মধুমতি নদী এই অঞ্চলে গতিপথ পরিবর্তন করে। ফলে পাংখারচর, লংকারচর, চরসুচাইল, চরঘোনাপাড়া ও চরপাচাইল এলাকায় একটি বৃহৎ বাওড়ের সৃষ্টি হয়। এই বাওড়ের একটি মুখ মধুমতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় বর্ষাকালে সেখানে প্রবল জোয়ারভাটা সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রতি বছর নদীভাঙন বাড়ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নড়াইল-এর নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিত সাহা বলেন, ‘‘ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে নিয়মিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।’’ স্থানীয়রা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, আরও দেরি হলে শুধু ফসল নয়, বসতবাড়িও রক্ষা করা সম্ভব হবে না। SHARES জীবন-যাপন বিষয়: