ব্যক্তি স্বার্থে কাউকে ফাঁসানোর অন্যতম অস্ত্র এখন ‘বৈষম্যবিরোধী’ মামলা বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৫ ব্যক্তি স্বার্থে কাউকে ফাঁসানোর অন্যতম অস্ত্র এখন ‘বৈষম্যবিরোধী’ মামলা নিউজ ডেস্ক : দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে কাউকে ফাঁসাতে এখন অপব্যবহার করা হচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী’ ও রাজনৈতিক সহিংসতার মামলাকে। মনগড়া তথ্য, ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয় আর প্রভাবশালী ব্যক্তির প্ররোচনায় জড়ানো হচ্ছে নিরপরাধ মানুষকে। তদন্তের আগেই অনেক সময় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে, যার ফলে ভেঙে পড়ছে বহু পরিবার। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আফরিন হাসান মুন্নী নামের এক মা এখনও তার কন্যাসন্তানের নাম রাখতেও পারেননি। কারণ, তার স্বামী, ব্যবসায়ী ইসমাইল প্রধানিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে একে একে ৬টি হত্যা মামলা। অভিযোগে বলা হচ্ছে, ৫ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আশুলিয়া, যাত্রাবাড়ী, পল্টন ও ভাটারায় সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ইসমাইল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। অথচ সব মামলায় তার ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়—কখনো ‘রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক’, আবার কোথাও ‘যুবলীগ নেতা’। উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি? ইসমাইলের পরিবার বলছে, এসব মামলা ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল। একাধিক প্রতারণা মামলার আসামি জাহিদুল ও নাসির উদ্দিন দুলাল নামের এক ব্যক্তির ইন্ধনে এসব করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। শুধু রিয়াজ নামের একজন নিহতের স্ত্রী নয়, জাহিদুলও একই ঘটনায় মামলা করেছেন, যিনি নিজেই ছয়টি প্রতারণা মামলার আসামি। ইসমাইলের স্ত্রী বলেন, > “একই দিনে একজন মানুষ এতগুলো জায়গায় গিয়ে কীভাবে খুন করতে পারে? তদন্ত ছাড়া কিভাবে পুলিশ একজনকে ধরে নিয়ে যায়? আমার স্বামী আমার সন্তানের মুখটাও দেখতে পারেনি।” পুলিশ ও আদালতের দায়িত্বহীনতা ডিবি কর্মকর্তারা জানান, > “আমরা আগে ধরে আনি, পরে তদন্ত করি।” এমন মনোভাব থেকেই ইসমাইলকে জামিন পাওয়ার পরও ভাটারা থানার নতুন মামলায় আবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই মামলায়ও নাম ও পরিচয় ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, > “শুধু নাম আর পদ-পদবি দেখে আমরা এরেস্ট দেখিয়ে দেই। সময়-সুযোগ হয় না যাচাই করার।” অন্যদিকে আদালতের জিআর শাখার একজন কর্মকর্তা দাবি করেন, “আমার কাছে এমন কোনো তথ্যই নেই যে উনি রাজনৈতিক পদে আছেন।” দুলাল পলাতক, এলাকাবাসীর সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি নাম আসা নাসির উদ্দিন দুলালের খোঁজে সাংবাদিকরা ফরচুন শপিং মলের তার বাসায় গেলে জানা যায়, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় পলাতক রয়েছে সে। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ব্যবস্থার উপর একজন নিরপরাধ মানুষ যদি বারবার ভুয়া পরিচয়ে মামলার আসামি হয়, সেটি শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো বিচারব্যবস্থার জন্য লজ্জাজনক। এমন মামলার নেপথ্যে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা না গেলে, ভবিষ্যতে আরও অনেকে এভাবে ফেঁসে যাবেন। সূত্র, চ্যানেল ২৪ SHARES অপরাধ বিষয়: