বিএনপিকে কি কেউ দুর্বল করে দিতে চাইছে 

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৫

বিএনপিকে কি কেউ দুর্বল করে দিতে চাইছে 

নিউজ ডেস্ক :

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারুফ মল্লিক। তিনি বলেছেন, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, আর এ ব্যর্থতার দায় তাদের কাঁধেই বর্তায়।

মারুফ মল্লিকের মতে, গত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া তিনটি নৃশংস হামলা দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে নির্মমভাবে হত্যা, খুলনায় যুবদল নেতাকে গুলি ও রগ কেটে হত্যা, এবং চাঁদপুরে মসজিদের খতিবের ওপর চাপাতি হামলার ঘটনাগুলো দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ভেঙে পড়ার প্রমাণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিশ্লেষক আরও বলেন, এসব ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক রেষারেষি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ধর্মীয় উগ্রতা কাজ করছে। বিভিন্ন ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকলেও দলটি ইতিমধ্যে চার হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। তা সত্ত্বেও কেন অপরাধের প্রবণতা কমছে না, তা খতিয়ে দেখতে বিএনপিকে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, “অপরাধী যেই হোক, দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার নামে কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব চলতে পারে না।” মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর দুই দিন ধরে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশ্লেষক।

মারুফ মল্লিক বলেন, “বিএনপি বারবার অভিযোগ করছে, তাদের উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে, সরকারের একাংশ বিএনপিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”

তিনি আরও বলেন, এখনই সময় বিএনপির একটি শক্তিশালী ডিসিপ্লিনারি ও লিগ্যাল টিম গঠনের, যারা অপরাধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

শেষ পর্যন্ত, দেশের সাধারণ মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেকোনো সময় যে কেউ খুন হতে পারে—এমন আতঙ্কজনক বাস্তবতা কখনোই একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য কাম্য নয়। সরকার যদি এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারে, তাহলে জনগণের আস্থা আরও ক্ষুণ্ন হবে এবং দেশে আরও বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।”

সূত্র: প্রথম আলো কলাম,