বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরে নিপীড়নের শিকার সেই নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক কুমিল্লা:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়ে ব্যাপক আলোচিত সেই নারী তার বাবার বাড়ি (ঘটনাস্থল) ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি তাকে কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মুরাদনগরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ওই নারীর খোঁজ নিতে মঙ্গলবার তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাননি। তিনি অভিযোগ করেন, "পুলিশ ও সরকারের উপদেষ্টারা ষড়যন্ত্র করে ভুক্তভোগী পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।"
তবে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ওই নারী তার স্বামীর বাড়িতে গেছেন। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মী তার বাড়িতে আসছেন। এতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে নিজ ইচ্ছায় সরে গেছেন। প্রয়োজন হলে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দেবে।"
গত ২৬ জুন রাতে বাহেরচর গ্রামে ওই নারী ধর্ষণ ও বিবস্ত্র নির্যাতনের শিকার হন। পরে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী ও ভিডিও ছড়ানো চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত ফজর আলীর বহুদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, "ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপরই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তবে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করা ও তা ছড়িয়ে দেওয়া একেবারেই ন্যক্কারজনক ও অপরাধমূলক কাজ।"
রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, "আমরা সবাই জানি তারা পরকীয়ার সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু এমনভাবে নির্যাতন ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।"