নিম্নমানের নির্মাণে ২৭ দিনেই ফাটল কোটি টাকার রাস্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর:
যশোরের ঝিকরগাছায় কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত একটি পাকা রাস্তা মাত্র ২৭ দিনেই ধসে পড়েছে। সড়কের মাঝখানে বড় গর্ত, পাশের আরও দুটি স্থানে ধস – সব মিলিয়ে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা এখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করেছে এ প্রকল্পটি। যশোর অঞ্চল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা নারিকেলতলা মোড় থেকে সেগুনবাগান হয়ে কপোতাক্ষ নদ পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার ৩৫৯ টাকা। রাস্তার কাজ শেষ হয় ৩০ মে।
কিন্তু মাত্র এক মাস পার না হতেই রাস্তায় দেখা দেয় বড় গর্ত। সরেজমিন দেখা যায়, গর্তে ঠিকাদারের কর্মীরা ইটের খোয়া ফেলছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এ অবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “শনিবার রাতে দেখি রাস্তার মাঝখানে বড় গর্ত হয়ে গেছে। তালপাতা দিয়ে চিহ্ন দিয়ে রেখেছি যেন কেউ পড়ে না যায়।” আরেক বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান মনি বলেন, “কাজের মান খুবই খারাপ ছিল। এক সপ্তাহও যেতে না যেতেই রাস্তার পিচ উঠে গেছে।”
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হৃদয় কনস্ট্রাকশনের অংশীদার নাজমুল ইসলাম তুষার বলেন, “যেখানে গর্ত হয়েছে, সেখানে নিচে একটি পুরনো কালভার্ট সরে যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে। কাজ সিডিউল অনুযায়ীই হয়েছে এবং প্রকৌশলীরা সবসময় তদারকি করেছেন।”
এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মো. সায়ফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, নিচে থাকা একটি পাইপের কারণে গর্ত হয়েছে। আরেক স্থানে রাস্তার সোল্ডার বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে। সব জায়গা মেরামত করা হবে। কাজ সিডিউল মোতাবেক হয়েছে, অনিয়ম হয়নি।”
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, সব কিছু নিয়ম মেনে করলে কোটি টাকার রাস্তা মাত্র এক মাসেই ধসে পড়ে কীভাবে?