নড়াইলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রগ কেটে হত্যা: ৫ জন গ্রেপ্তার বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৫ নড়াইলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রগ কেটে হত্যা: ৫ জন গ্রেপ্তার রাশেদ রাসু, নড়াইল থেকে : নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে জিল্লুর রহমান সরদার (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কালিয়া পৌরসভার কুলশুর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান ছিলেন কালিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান সরদারের চাচাতো ভাই এবং একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ কর্মী। ঘটনার পরদিন শনিবার (১২ জুলাই) রাতে নিহতের বড় ভাই সরদার আলী হোসেন বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর: ০৩। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৩ জুলাই) ভোরে কালিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মৃত কেরামত শেখের দুই ছেলে কামরুল শেখ (৪৪) ও খায়রুল শেখ (৩০), মৃত সহিদ শেখ ওরফে সাইদ শেখের ছেলে আকাশ শেখ (২৩), জামাল শেখের ছেলে রাতুল শেখ (২৬), এবং হাবিবর শেখের ছেলে সাজিদ শেখ ওরফে সজীব শেখ (১৯)। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “জিল্লুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” ⚽ ঘটনার পেছনের কারণ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে শহীদ এখলাছ উদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বাবুপুর ও কুলশুর গ্রামের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। বাবুপুর দলের সমর্থকরা পরবর্তীতে কুলশুর গ্রামের মুজিবুর রহমান সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় জিল্লুর রহমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাকে টার্গেট করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাঁ পায়ের রগ কেটে দেয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্ত ও নিরাপত্তা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুলশুর ও বাবুপুর এলাকায় টহল জোরদার করেছে। একই সঙ্গে মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। SHARES অপরাধ বিষয়: