দৌলতদিয়ায় জুয়া নিয়ে বিরোধে পান দোকানিকে হত্যা, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ১:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৫

দৌলতদিয়ায় জুয়া নিয়ে বিরোধে পান দোকানিকে হত্যা, গ্রেফতার ২

বিডি সময় ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে পান দোকানি নজরুল বেপারী (৩২) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুরনো শত্রুতা এবং হাতাহাতির ঘটনা জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (২৮ জুন) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—গোয়ালন্দ উপজেলার হোসেন মণ্ডল পাড়ার মো. সুলতানা মিয়ার ছেলে রনি মিয়া ওরফে আরমান হোসেন (২২) এবং সোহরাব মণ্ডল পাড়ার মৃত আতর আলী মোল্লার ছেলে মো. ইসমাইল মোল্লা ওরফে ঝড়ু (২০)।

নিহত নজরুল বেপারী দৌলতদিয়া ঈমানখা পাড়ার বাসিন্দা ও মৃত শাহাজউদ্দিন বেপারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক ও জুয়া আইনে পূর্বে দুটি মামলা ছিল।

পুলিশ জানায়, গত ২২ জুন রাত ১২টার দিকে নজরুল নিজ বাড়ি থেকে দোকানের চাবি নিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর উদ্দেশে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। পরদিন সকাল পৌনে ৭টার দিকে ঈমানখা পাড়ার রেলওয়ে সীমানা পিলারের পাশে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাথা, ঘাড়, পিঠ, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের গভীর জখম ছিল।

পরিবারের পক্ষ থেকে নজরুলের ভাই এরশাদ বেপারী গোয়ালন্দঘাট থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসে রনি ও ঝড়ুর নাম।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৬ জুন গভীর রাতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থেকে রনিকে এবং ২৭ জুন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনি এলাকা থেকে ঝড়ুকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নজরুল হত্যার দায় স্বীকার করে জানায়, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। পরিকল্পিতভাবে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নজরুলকে হত্যা করা হয়।

পরে রনির দেখানো মতে রেল লাইনের পাশের ডোবা থেকে একটি ধারালো ছোলদা এবং ঝড়ুর দেখানো মতে একটি স্টিলের চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, রনির বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র, মাদক ও নারী নির্যাতনসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। ঝড়ুর বিরুদ্ধেও রয়েছে দুটি ডাকাতি মামলা।

পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।