দাখিল পরীক্ষায় সবাই ফেল, মাদরাসা সুপার জানেন না কিছুই! বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৫ দাখিল পরীক্ষায় সবাই ফেল, মাদরাসা সুপার জানেন না কিছুই! নিউজ ডেস্ক : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে অবস্থিত তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে চলতি বছরের এসএসসি ও দাখিল সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। এই ব্যর্থতার কারণ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান প্রধান তেমন কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন! ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসাটি থেকে এ বছর মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চারজনই ফেল করেছে। শিক্ষক রয়েছেন ১৪ জন, স্টাফ ৩ জন, তবুও মাদরাসাটির এমন করুণ ফলাফল নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরে এ বছর দাখিলে পাসের হার ৪৯.৮৩ শতাংশ। জেলার ১০৫টি দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩,০৩৩ জন শিক্ষার্থী; পাস করেছে ১,৫১৩ জন, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২৫ জন। এর মধ্যে একমাত্র তাওয়াকুছা তিলাতারা মাদরাসাতেই কেউ পাস করেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য রহমত আলী বলেন, > “মাদরাসাটি আমার বাড়ির পাশেই। এখানে তেমন পড়াশোনা হয় না বললেই চলে। ভবন হবে শুনেছি, কিন্তু ভবন দিয়ে কী হবে, যদি শিক্ষার মান না থাকে?” মাদরাসার সুপার মোতাবেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, > “রেজাল্ট খারাপ হয়েছে—জানি না কেন। গত বছরের ফলাফল কেমন ছিল তাও মনে নেই।” এই কথার পর তিনি ফোন কেটে দেন এবং এরপর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, > “৫ আগস্টের পর আমি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হই। এই মাদরাসা এমপিওভুক্ত নয়, তাই নিয়মিত ক্লাস হয় না। এখন থেকে নিয়মিত মনিটরিং করব এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি তদারকি বাড়াতে।” স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী বছরও হয়তো একই চিত্র দেখা যাবে। SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: