ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযান: মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও জনসচেতনতা র্যালি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস এবং নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শনিবার (৫ জুলাই) ডিএসসিসির অঞ্চল-০৪ এলাকার সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে অংশ নেন ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ডিএসসিসির ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন, নর্দমা, ফুটপাত পরিষ্কার এবং মশার ওষুধ ছিটানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়। একইসঙ্গে একটি জনসচেতনতামূলক র্যালির আয়োজনও করা হয়।
সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন,
> “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ সবচেয়ে জরুরি। বিশাল ঢাকা শহরে সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়। প্রত্যেক নাগরিক যদি নিজের আঙিনা পরিষ্কার রাখেন, তাহলেই আমরা সফল হতে পারি।”
তিনি আরও জানান, সরকার বর্তমানে ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা-২০২৫’ প্রণয়ন করছে, যেখানে সরকার ও নাগরিকদের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে।
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান,
> “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের বিশেষ অভিযানের এটি চতুর্থ পর্ব। এবার মূল লক্ষ্য স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা এবং সচেতনতা বাড়ানো।”
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এবার প্রতিটি ফগার মেশিনে কীটনাশকের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৬০ লিটার করা হয়েছে। এছাড়া, কার্যকারিতা নিশ্চিতে অঞ্চলভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং অন্যান্য বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তারা।