ঠিকাদারের গাফিলতিতে থমকে ৩ সেতুর কাজ, দুর্ভোগে পিরোজপুরের ১০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৫

ঠিকাদারের গাফিলতিতে থমকে ৩ সেতুর কাজ, দুর্ভোগে পিরোজপুরের ১০ গ্রামের মানুষ

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুর সদরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অধীনে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন তিনটি সেতুর কাজ বছরের পর বছর ধরে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শারিকতলা ইউনিয়নের অন্তর্গত ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

সেতু তিনটি হচ্ছে—শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সেতু, কুমিড়মারা আবাসন সেতু এবং নলবুনিয়া বাজার সেতু। এগুলো পিরোজপুর সদরের সঙ্গে শারিকতলা ইউনিয়নের সহজ যোগাযোগপথ কুমিড়মারা-শারিকতলা-ডুমুরিতলা সড়কে অবস্থিত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিগত ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকায় নির্মাণকাজ ফেলে রেখেও ঠিকাদার কোনোরূপ জবাবদিহিতা ছাড়াই বরাদ্দের টাকা তুলেছেন। ফলে সাধারণ মানুষকে প্রতিদিনই চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল হক বলেন, “বছরের পর বছর সেতুর কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। বর্ষা এলে সড়ক পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। রোগী নিতে পারি না, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না।”

এ প্রসঙ্গে পিরোজপুর সদর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, “সেতু তিনটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যথাযথ সাপোর্ট পেলে দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। এতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।”

জানা গেছে, ‘আইবিআরপি প্রকল্প’-এর আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতী ইটিসিএল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেতু তিনটির নির্মাণকাজ শুরু করে, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আংশিক নির্মাণের পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এলজিইডিকে তদারকি জোরদার করে দ্রুত সেতুগুলোর কাজ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।