খুলনায় মাদক ও যানজট সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: কেএমপি কমিশনার
নিউজ ডেস্ক :
খুলনায় মাদক ও যানজট পরিস্থিতিকে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে কেএমপির সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
কমিশনার জানান, খুলনায় একদিকে মাদকের ভয়াল থাবায় তরুণ সমাজ ধ্বংসের মুখে, অন্যদিকে ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, “খুলনা শহরে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে, যার ৬০ শতাংশ বাইরের এলাকা থেকে আসে। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে চালকদের সচেতনতার অভাবেই যানজট বেড়ে যাচ্ছে।”
মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের বিষয়ে তিনি জানান, গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে মাদক কারবারিদের ধরতে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
কমিশনার অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সন্তানরা যেন সন্ধ্যার পর বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি বা আড্ডা না দেয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাদের পড়ালেখায় মনোযোগী করতে হবে।”
যানজট নিরসনে কেএমপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৫০০ ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি চালকদের আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া ইজিবাইকগুলোকে দুই রঙে ভাগ করে একদিন পরপর চলাচলের পরিকল্পনা নিয়েছে কেএমপি।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আরও জানান, গত ১০ মাসে খুলনা মহানগর এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার মধ্যে ২২টির রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি মামলা নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে এবং দুটি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আবু তারেক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।