এক যুগেও হয়নি বিশ্বজিৎ হত্যার পূর্ণ বিচার, পরিবারের ক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক :
পুরান ঢাকার ব্যস্ততম ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা—এই নির্মম দৃশ্য আজও দেশবাসীর স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও তার পরিবারের চোখে নেই বিচার পাওয়ার স্বস্তি।
বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম দাস আক্ষেপ করে বলেন, “১২ বছর আগের এই হত্যা দুনিয়াবাসী দেখেছে। আদালতে আলামত, সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আসামিরা রাজনৈতিক আশ্রয়ে রক্ষা পেয়ে গেছে। হাইকোর্টে গিয়ে সাজা ‘পানি’ হয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “এই হত্যার বিচার যদি হতো, তাহলে আজও মানুষ এভাবে প্রকাশ্যে খুন হতো না। শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম, কিন্তু এখনো ন্যায়বিচার অধরাই রয়ে গেছে।”
৭৩ বছর বয়সী বাবা অনন্ত দাস বলেন, “আমরা তো বিচারই চেয়েছি শুধু। শেখ হাসিনার আমলে অনেক খুনিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তো আর তিনি নেই, তাহলে দেরি কোথায়?”
ঘটনাপরম্পরা:
বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক জালাল আহমেদ। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন দেন।
তবে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট হাইকোর্টে অনেক আসামি খালাস পান কিংবা শাস্তি কমিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
বিশ্বজিতের পরিবার মনে করে, বিচার যদি দ্রুত এবং নিরপেক্ষ হতো, তাহলে আজও তারা এতটা অসহায় বোধ করতেন না।