ইরানের হুঁশিয়ারি: 'আবার আগ্রাসন হলে জবাব হবে ভয়াবহ'
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থাকে দ্বিচারিতা পরিহারের আহ্বান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (IAEA) 'দ্বিচারিতা' পরিহারের আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আবার কোনো আগ্রাসন হলে তার জবাব হবে ‘আরও ভয়াবহ’।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক বিবৃতিতে পেজেশকিয়ান বলেন, “যদি তেহরানকে পারমাণবিক ইস্যুতে সহযোগিতায় ফিরতে হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সংস্থাটিকে ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। দ্বিমুখী আচরণ আর বরদাস্ত করা হবে না।”
এর আগে গত সপ্তাহে ইরান আইএইএ’র সঙ্গে চলমান সহযোগিতা স্থগিত করে এবং সংস্থাটির পরিদর্শকদের দেশ ছাড়তে বলে। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। জুন মাসে ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর থেকেই আইএইএ ও তেহরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, “আইএইএ’র একতরফা রেজুলেশনই ইরানে হামলার পথ তৈরি করেছে। সংস্থাটি ইসরায়েল-মার্কিন আগ্রাসনের সমালোচনা না করে উল্টো তেহরানের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।”
ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তনিও কস্তার সঙ্গে এক ফোনালাপে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের সম্পর্ক নির্ভর করছে এই সংস্থার আচরণের ওপর। যদি তারা তথ্যভিত্তিক নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, তাহলে তাদের উপর আস্থা রাখা কঠিন।”
ইরান দৃঢ়ভাবে জানিয়ে আসছে—তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে আইএইএ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয় যে ইরান সম্ভবত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে রয়েছে, যা তেহরান বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
ইসরায়েলি হামলার পর দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের এক সংঘর্ষ হয়, যেখানে ইরান সরাসরি তেল আবিবে হামলা চালায়। এরপর থেকেই আইএইএ আর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করতে পারছে না।
আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এই বিষয়ে বলেন, “ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হলে বিশ্ব নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে।”