অনৈতিক কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিডি সময় নিউজ ২৪ বিডি সময় নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৫ অনৈতিক কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিনোদন ডেস্ক | এক সময়ের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শিশুশিল্পী শ্বেতা বসু প্রসাদের জীবনে এসেছিল অন্ধকার সময়। ২০০২ সালে ‘মকড়ি’ চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করা এই অভিনেত্রী পরে একটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট, হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকার একটি হোটেল থেকে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ দাবি করে, তিনি অর্থের বিনিময়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন। এরপর তাকে পাঠানো হয় একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। ঘটনার পর শ্বেতা গণমাধ্যমে জানান, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই পেশায় আসেননি, বরং ভুল বুঝিয়ে তাকে এই ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। তার দাবি, জীবনের কোনো পর্যায়ে দারিদ্র্য তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেনি। শ্বেতার একটি মন্তব্য পরবর্তীতে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি বলেছিলেন, “বলিউডের অনেক নায়িকাই ক্যারিয়ার বাঁচাতে এমন কাজ করতে বাধ্য হন। আমি একা নই।” তার এই বক্তব্য নিয়ে তখন সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত শ্বেতা আইনি লড়াইয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হন। হায়দরাবাদের একটি নিম্ন আদালত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আদালত জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগ থেকে মুক্তির পর শ্বেতা ধীরে ধীরে ফিরে আসেন অভিনয়ে। ‘দ্য তাশখন্দ ফাইলস’ (২০১৯), ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (২০২২), এবং হিট ওয়েব সিরিজ ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এর বিভিন্ন সিজনে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্র ‘এক নদীর গল্প’তেও তাকে দেখা গেছে, যেখানে তিনি মিঠুন চক্রবর্তী ও যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন। শিশুশিল্পী থেকে বিতর্কিত অধ্যায় পেরিয়ে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেছেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। তার জীবন গল্প অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা, আবার অনেকের কাছে সাবধানবার্তা। SHARES অপরাধ বিষয়: